ছবির এই সেতুটি উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহর থেকে রুশ সৈন্যদের প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে।

মস্কোতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের সকল সৈন্যকে দনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, এবং কোন অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম পেছনে ফেলে আসা হয়নি। – খবর বিবিসি

ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এই খেরসন শহরটিই ছিল একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল।

বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, গত বুধবারই মস্কো ঘোষণা করেছিল যে অব্যাহত ইউক্রেনীয় আক্রমণের মুখে খেরসন থেকে রুশ সৈন্যদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।

এর কারণ, গত কিছুকাল ধরেই ইউক্রেনীয় বাহিনী তিন দিক থেকে খেরসনের দিকে তাদের অগ্রাভিযান চালাচ্ছিল এবং শহরটির উত্তর-পূর্বদিকে কিছু এলাকা পুনর্দখল করে নিয়েছিল।

এই পটভূমিতেই মস্কোর সেনা কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেন, খেরসন শহরে রসদ-পত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না।

এই সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে খেরসনে থাকা রুশ সৈন্যরা দনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারে।

শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় যে, খেরসন থেকে সব রুশ সৈন্যকে সরিয়ে দনিপ্রো নদীর পূর্ব পারে নিয়ে যাওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং কোন অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম পেছনে ফেলে আসা হয়নি।

খেরসন থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, আন্তনিভস্কি ব্রিজ নামে যে সেতুটি রুশ সৈন্যরা প্রত্যাহারের জন্য ব্যবহার করেছে সেটা এখন ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

এটা কীভাবে ঘটলো তা স্পষ্ট নয়, তবে কিছু রুশ সূত্র বলেছে, সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার পর রুশরাই এটা ধ্বংস করে দিয়েছে।

এই সেনা প্রত্যাহার রাশিয়া এবং ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য একটি বড় আঘাত এবং ইউক্রেনের জন্য এক বড় বিজয়।

তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, খেরসন থেকে রুশ সৈন্যদের হঠে যাওয়াটা প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্য অপমানজনক কিছু নয়।

ওদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, খেরসনের দিকে অগ্রাভিযানের সময় ইউক্রেনীয় বাহিনী অনেকগুলো শহর ও গ্রাম পুনর্দখল করেছে।

খেরসন শহরের অবস্থা এখন কেমন তা ঠিক স্পষ্ট নয়, তবে সামাজিক মাধ্যমে সেখানকার বাসিন্দাদের জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে তোলা ফটো দেখা যাচ্ছে।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে এখনো কিছু রুশ সৈন্য রয়েছে এবং তাদের ওপর ইউক্রেনীয় বাহিনী আক্রমণ চালাচ্ছে।