মামুন হোসেন, ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) : ৮০’র দশকে লক্ষণ দাসের সার্কাসের পরে অরুন দাসের সার্কাসের চমক ছিল বন্যপ্রানি হাতি দিয়ে রকমারি খেলা। ওই সময় গ্রাম-গঞ্জে হাতির খেলা জনপ্রিয় বিনোদন হওয়ায় দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতো সার্কাস দেখতে।

তখন হাতির মাহুত ও হাতি বিনোদন করে ভাল উপার্জন করতো। কিন্তু সেই দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না।

কালের বিবর্তনে ও বর্তমান প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সেই হাতির খেলা ও হাতি এখন বিলুপ্ত প্রায়।

বুধবার ১৮ আগস্ট সকালে করোনার কবলে পড়ে দু’টি হাতি নিয়ে দুই কিশোর মাহুতকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পৌর শহরের বাড়ী বাড়ী ও ভিবিন্ন দোকানের সামনে টাকা তুলতে ও খাবার সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় দোকানীরা জানান, দুই ১৪ বছরের কিশোর দু’টি হাতি নিয়ে প্রতিটা দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে হাতি শুঁড় তুলে ওইসব দোকানীদের সালাম দিয়ে টাকা এবং খাবার দাবি করে।

এ সময় অধিকাংশ দোকানীরা বলে, কোন টাকা বা খাবার দিতে পাড়বো না। কারণ, করোনার কারনে তাদের দোকান পাট বন্ধ ছিলো। তাই তাদের ব্যবসা বানিজ্য মন্দা যাচ্ছে। তারাই অভাবে আছেন।

এমন কথা শুনে হাতি মোটেও সরে যায়নি বরং লম্বা শুঁড় বাড়িয়ে ভেজা চোঁখে অবাক দৃষ্টিতে ধরনা ধরেন। এতে অনেক দোকানীরা ভয় পেলে হাতির মাহুত বলে, ১০ টাকা দিন মামা। হাতি নিয়ে আমরা করোনার মধ্যে খুব কষ্টে আছি। তখন দোকানীরা মানবিক কারণে ১০ টাকা হাতির শুঁড়ে দিলে হাতিটি আবারও শুঁড় তুলে সালাম দিয়ে চলে যায়।

হাতি পিঠে থাকা দুই কিশোর মাহুত রাজিব ও রাব্বি জানায়, করোনার কারণে কোথাও হাতি দিয়ে খেলা দেখাতে পাড়ছে না। তাই তারা হাতির খাবার খাদ্যের খরচ নিয়ে বিপাকে পড়েছে। হাতি ও নিজেদের প্রাণ বাচাঁতে বরিশাল থেকে আমরা এই এলাকায় এসেছি। সবার কাছে এই বন্যপ্রাণীর জন্য ১০ টাকা চেয়েছি।