খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : দোলাচল, অনিশ্চয়তা ও জল্পনা-কল্পনার অবসান শেষে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৫তম আসরের পর্দা উঠছে আজ।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসরের প্রথম দিন মাঠে নামবে শ্রীলংকা-আফগানিস্তান।
২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো এশিয়া কাপ। ২০১৮ সালের পর ২০২০ সালে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিলো। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষ দিকে করোনা মহামারি শুরু হলে, ২০২০ সালের এশিয়া কাপ বাতিল হয়ে যায়।
সূচি অনুযায়ী ২০২১ সালে শ্রীলংকার মাটিতে হবার কথা ছিলো এশিয়া কাপ। করোনার প্রভাব অব্যাহত থাকায় ওই বছরও এশিয়া কাপও বাতিল হয়।
পরপর দুই বছর এশিয়া কাপ বাতিল হলে, এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ২০২১ সালের অক্টোবরে আলোচনায় বসে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। আলোচনা শেষে এসিসি ঘোষণা করে, ২০২২ সালে শ্রীলংকায় বসবে এশিয়া কাপ। আর ২০২৩ সালে পাকিস্তানের মাটিতে হবে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর।
গত ২ আগস্ট এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করে এসিসি। আগামী অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এবারের আসরটি টি-টোয়েন্টি ফরমেটে আয়োজন করছে এসিসি। যাতে বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া আসরটি টি-টোয়েন্টি ফরমেটে হয়েছিলো। বাকী আসরগুলো হয়েছিলো ওয়ানডে ফরমেটে।
এবারের আসরে মূল পর্বের আগে বাছাই পর্ব অংশ নেয় চার দল হংকং, সিঙ্গাপুর, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইতোমধ্যে বাছাই পর্ব শেষ হয়েছে। বাছাই পর্বের সেরা দল হয়ে মূল পর্বে খেলবে হংকং।
মূল পর্বে দু’টি গ্রুপ রয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত, পাকিস্তান ও বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা হংকং। ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান।
গ্রুপ পর্ব শেষে সেরা চার দলকে নিয়ে পরবর্তীতে হবে সুপার ফোর পর্ব। সেখানে একে অপরের বিপক্ষে খেলবে দলগুলো। সুপার ফোরের সেরা দুই দল খেলবে ফাইনালে। ১১ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল।
এশিয়া কাপের মূল পর্বে ১৩টি ম্যাচ হবে শারজাহ ও দুবাইতে। শারজাহতে মাত্র ৩টি ম্যাচ রাখা হয়েছে। বাকী ম্যাচগুলো দুবাইয়ে।
এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার শিরোপার স্বাদ পেয়েছে শ্রীলংকা। তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি বাংলাদেশ। দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান।