খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেলেন পেসার এবাদত হোসেন। আর তিন বছর পর জাতীয় দলে ফিরলেন সাব্বির রহমান।
আগামী ২৭ আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে এবারের এশিয়া কাপ।
দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দলকে নেতৃত্ব দিবেন। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাকিবকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে বিসিবি।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, আমরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য যথেষ্ট ভাল না হওয়ায় অধিনায়কের সাথে দল নিয়ে আলোচনা করেছি।
নান্নু আরো বলেন, সব দিক বিবেচনা করে আমরা এই দলটি গঠন করেছি। জিম্বাবুয়েতে আমরা ভালো করতে পারিনি, তবে আমরা আশাবাদী এই দলটি এশিয়া কাপে ভালো করবে।
বিশ্বকাপের জন্য দলকে তৈরি করতে দু’টি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পাবে বাংলাদেশ। একটি এশিয়া কাপ ও অন্যটি নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
এশিয়া কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান এবং বাছাইপর্ব থেকে আসা একটি দল। ২০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বাছাইপর্বের সেরা দল মূল পর্বে খেলবে।
সাব্বিরকে দলে নেয়ার ব্যাপার নান্নু জানান, মিডল অর্ডারকে শক্তিশালী করার জন্য সাব্বিরকে দলে নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন সাব্বির।
তিনি আরো জানান, পারফরমেন্সের ভিত্তিতেই দলে নেয়া হয়েছে সাব্বিরকে।
নান্নু বলেন, সাব্বির একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। ঘরোয়া ক্রিকেট ভালো করেছেন তিনি। যেহেতু আমাদের বেশ কিছু খেলোয়াড় ইনজুরিতে রয়েছে তাই মিডল অর্ডারকে শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সাব্বির ফিট হবেন।
তিনি বলেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলেছে সাব্বির। তখন সে বাংলাদেশ টাইগার্স এবং বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ছিলেন। তাই তার অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা আশাবাদী সে তার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে ভালো করবে।
পেসার এবাদত হোসেনের ব্যাপারে নান্নু জানান, বিপিএলের সর্বশেষ পারফরমেন্সের কারণে টি-টোয়েন্টি দলে নেয়া হয়েছে এবাদতকে। টেস্টে নিয়মিত হলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভালো খেলেছে এবাদত। সে গত বিপিএলেও ভালো করেছিল। তাই আমরা তাকে সাদা বলের ক্রিকেটে তার দক্ষতা দেখানোর সুযোগ দিয়েছি।
মুশফিক ও সাইফুদ্দিনের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাশিত ছিল। এ বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন মুশফিক। এরপর হজ পালনের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাননি। জিম্বাবুয়ে সিরিজে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিলো তাকে।
আর ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পিঠের ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন সাইফুদ্দিন। ফিটনেস প্রমাণ করে দলে ফিরলেন তিনি।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মাহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন ও পারভেজ হোসেন ইমন।