বগুড়া অফিস : জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধিনে রাখার দাবী জানিয়েছেনমাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজশাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভায় এ দাবী জানানো হয়েছে। সোমবার জুম সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারগণ তাদের বক্তব্যে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিন সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যাস্ত করার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন , বিগত ২০০৭ সাল থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কঠোর পরিশ্রম করে প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেল এবং সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ এর হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত ও বিতরণ এবং এ সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হচ্ছে। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দীর্ঘদিন যাবত জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞ সেহেতু অন্য যে কোন বিভাগের চেয়ে দক্ষতার সাথে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে জাতীয় এ কার্যক্রম পরিচালনা ও জনসাধারণকে দ্রুততম সময়ে কার্যকরভাবে সেবা প্রদান করতে পারবে। যদি অন্য কোন দপ্তর ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একই সাথে ডাটাবেজ গঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করে এতে দুটো ডাটাবেজে জনবহুল বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্যের গরমিল পরিলক্ষিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
সভায় বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এ এস এম জাকির হোসেন,বলেন, নতুনভাবে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার হস্তান্তর করলে ঐ প্রতিষ্ঠানকে অবকাঠামো গড়ে তোলা, নতুনভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, কর্ম-পরিকল্পনা প্রস্তুত, লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা করাসহ নানাবিধ কাজে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। সরকারী অর্থ সাশ্রয়ের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধিনে রাখার মতামত প্রদান করেন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তার বক্তব্যে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এ ছাড়া তিনি এনআইডি সেবা সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
রাজশাহী অঞ্চলের সকল সিনিয়র ও জেলা নির্বাচন অফিসার, অতিরিক্ত আঞ্চলিক ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসারবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশন বগুড়ার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।