
আহমেদ বায়েজীদ : চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর দেশটির কমিউনিস্ট সরকারের নিপীড়নের শুনানি করবে লন্ডনে গঠিত উইঘুর ট্রাইবুনাল নামের একটি প্রতিকী আদালত। বেসরকারি উদ্যোগে উইঘুর ট্রাইবুনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে শুক্রবার, যা চলবে চারদিন।
চীনে উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের বিভিন্ন প্রমাণ উপস্থাপন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে এখানে। ৩০ জন প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে তাদের সাক্ষ্য পেশ করবেন। বেশ কিছুদিন ধরেই চীনে তুর্কি বংশোদ্ভ‚ত উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের তদন্ত করছে উইঘুর ট্রাইবুনাল।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, কানাডা, নেদারল্যান্ডের আদালত উইঘুরদের ওপর চীনের দমন পীড়নকে গণহত্যা হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। আরো অনেক দেশ এ বিষয়ে স্বোচ্চার।
২০১৭ সালে এ বিষয়ে প্রথম রিপোর্ট প্রকাশিত হয় মূলধারার গণমাধ্যমে, যাতে বলা হয় অন্তত ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে ৪০০ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বন্দী করে রেখেছে চীন। জাতিসঙ্ঘের রিপোর্টেও উঠে এসেছে উইঘুরদের ওপর নৃশংসতার কথা।
বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে জিনজিয়াংয়ের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যৌন নির্যাতন, জোরপূর্বক ইসলামিক বিধি বিধান থেকে দূরে রাখাসহ নানান অত্যাচার করা হচ্ছে এমন খবর।
চীনের মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশে এক কোটি মুসলিমের বসবাস। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ওপর চীনা সরকারের কঠোর নজরদারিসহ অনেক বিধিনিষেধ চলে আসছে। জোরপূর্বক কমিউনিস্ট শাসনের প্রতি আনুগত্য, ধর্ম পালনে বাধাসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে বেইজিংয়ের সরকারের নামে।