খোলাবার্তা২৪ ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সে দেশের কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ‘অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি করার দায়ে তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।

পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন সরকার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল যে, ইমরান খান ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় বিদেশী উচ্চপদস্থ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন, সেগুলোর কথিত বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি।

ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন সরকার এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের রুলিং চেয়েছিল।

পাকিস্তানের ডন পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের ট্রাইবুনাল এক লিখিত রুলিং-এ সংবিধানের ৬৩(১)(পি) ধারা অনুযায়ী ইমরান খানকে পার্লামেন্ট বা প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত বা মনোনীত হবার অযোগ্য বলে ঘোষণা করে।

রিপোর্টে আইনী বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে বলা হয়, কমিশনের এ রুলিং-এর অর্থ হচ্ছে যে ইমরান খান বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ পর্যন্ত এর সদস্য হবার অযোগ্য থাকবেন। পার্লামেন্টে তার আসনটিতে উপ-নির্বাচন হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়।

এই নিষেধাজ্ঞা আজীবনের জন্য নাকি সীমিত সময়ের জন্য- তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইমরান খান বলছেন, এ বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তবে ইমরান খান গত মাসে স্বীকার করেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় পাওয়া অন্তত চারটি উপহার বিক্রি করেছিলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক রিপোর্টে বলা হয়, বিক্রি করে দেয়া উপহারের মধ্যে কয়েকটি দামী হাতঘড়ি ছিল, যা কোন একটি রাজপরিবারের দেয়া এবং এগুলোর মূল্য ৬৩৫,০০০ ডলারের সমান।

তার সহযোগীরা বলছেন, তারা এ সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবেন। তারা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার জন্য ইমরান খানের সমর্থকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের কয়েকটি শহরে ইমরান খানের সমর্থকরা রাস্তা আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করেছে তবে কোন সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।