ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়ি আটকে দিয়েছে পুলিশ। শনিবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদরের টোলপ্লাজায় তার গাড়ি আটকে দেয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। তিনি জেলা শহরে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য আসছিলেন।

এ সময় রুমিন ফারহানা এমপি নাস্তা করার কথা বলে স্থানীয়ে উজানভাটি হোটেলে অবস্থান নেন।

পরে সেখানে সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া এমপি ও একরামুজ্জামান সুখন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ পৌঁছলে প্রায় দুই ঘন্টা পর তারা সমাবেশের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে রওয়ানা হন।

এ বিষয়ে রুমিন ফারহানা এমপি বলেন, আমরা ঢাকা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছি। পুলিশ সম্পূ্ণ অযৌক্তিকভাবে আমাদের গতিরোধ করে এবং কালক্ষেপণ করে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শহরে অন্যায়ভাবে ১৪৪ ধারা জারি করলে ভ্যান পরিবর্তন করে পৌর এলাকার বাহিরে আমাদের জেলা নেতৃবৃন্দ সমাবেশের অনুমতি গ্রহন করে। এরপরও একজন সংসদ সদস্যের গাড়ি আটকে গতিরোধ করা চরম অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক।

তিনি বলেন, সরকারের পায়ের নীচে এখন মাটি নেই। তাই বিএনপিকে ভয় পায়। আর এজন্যই সমাবেশে বাধার সৃষ্টি করছে।

তবে এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, রুমিন ফারহানার গাড়ি আটক করা হয়নি। তার সঙ্গে আমরা কথা বলছি। জানিয়েছি শহরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সমাবেশ ডাকে জেলা বিএনপি। একই সময় ছাত্রলীগও একই স্থানে সমাবেশ ডাকে।

এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে ৫০০ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পরে স্থান পরিবর্তন করে স্থানীয় বটতলী বাজারে সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএনপির সমাবেশ চলছে।