মো. সামছুল আলম, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আদমদীঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই সরবরাহে সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বছরের প্রথম দিন মানেই, দেশের সব স্কুল শিক্ষার্থীদের উৎসবের দিন। সারা দেশের মতো আদমদীঘির সকল স্কুলের শিক্ষার্থীরাও দিন গুনছেন কবে আসবে ১ লা জানুয়ারী।

এরই মধ্যে সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনীর নূরানী স্কুলে সহকারী শিক্ষক মোঃ বজলুল ইসলাম বেলাল জানালেন অন্যরকম খবর। তিনি তাঁর স্কুলের নতুন বছরের (২০২৩ ইং) শিক্ষার্থীদের জন্য বই এর চহিদাপত্র ২৮ ডিসেম্বর জমা দেন বই বিতরনের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিনের কাছে। রুহুল আমিনের নির্দেশ মতো বজলুল ইসলাম বেলাল ২৯ ডিসেম্বর বই নিতে আসেন। শিক্ষক বেলালকে বই দেয়ার প্রাক্কালে ১৫ শত টাকা দবী করেন। বই বিতরণে মৌখিকভাবে অন্যান্যদের সাথে নিয়োজিত ছিলেন কাথলা সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী গোলাম রব্বানী। তিনি রুহুল আমিনের নির্দেশে ওই বই সরবরাহের জন্য ১৫ শত টাকা দাবী করেন। শিক্ষক বজলুল ইসলাম বেলাল ওই পরিমান টাকা না দিলে শিক্ষক বেলালকে বই না দিয়ে বের করে দেয়া হয়।

শিক্ষক বেলাল বই না নিয়েই ফিরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শিয়ালসন গ্রামের জনৈক সমাজ সেবক ফাহিমের সাথে দেখা হয় শিক্ষক বেলালের। ফাহিমের সাথে শিক্ষক বেলালের দেখা হলে তিনি ঘটনা বলতে বলতে ক্ষোভে যন্ত্রনায় বইয়ের চাহিদা পত্রের ফটকপি ছিড়ে ফেলেন।

এ বিষয়টি নিয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিনের সথে কথা বললে তিনি বলেন, “কারও নিকট টাকা চাওয়া হয়নি।” অপরদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সামছুল আলম দেওয়ানের সথে কথা বললে তিনি তার অজান্তে এরূপ ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।